|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অখণ্ড-মণ্ডলী |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অখণ্ড-মণ্ডলী-সমূহের সাধারণ নিয়ম
কোথাও মান্ধাতার আমলে একটী কার্য্যকরী সমিতি গঠিত হইয়াছিল বলিয়া নিরবধি নিরন্তকাল ঐ কাঠামোতেই মণ্ডলী চলিবে, ইহা হইতে পারে না। নিশ্চয়ই মণ্ডলীর একটী বার্ষিক অধিবেশন হইয়া নূতন সভাপতি, সম্পাদক ও কার্য্যনির্ব্বাহক সভ্য-সভ্যার নির্ব্বাচন প্রয়োজন। নূতন নূতন আগ্রহী কর্ম্মীদিগকে পদাধিকার দিয়া মণ্ডলীর সেবার মধ্য দিয়া অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ দান একান্তই প্রয়োজন। প্রক্রিয়া দেখিয়েই কেউ তোমার জীবন-তরণীর কর্ণধার হোক্। পরন্ত্ত, নিজের জীবনের জ্বলন্ত মনুষ্যত্ব দেখিয়েই বর্ত্তমানের গুরুকে শিষ্যের মনুষ্যত্ব-প্রয়াসী চিত্তকে আকৃষ্ট কত্তে হবে। তাতে গুরুরও লাভ, শিষ্যেরও লাভ। গুরুতর কারণ এবং বিশেষ অবস্থা ব্যতীত একই ব্যক্তিদের একই পদে বর্ষের পর বর্ষ অবস্থান অখণ্ড-মণ্ডলী স্থাপনের উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। সঙ্ঘে নিত্য নূতন রক্ত সঞ্চারের আয়োজনের দিকে যাহাদের লক্ষ্য বেশী, যাহারা শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং অখণ্ড-আদর্শের প্রতি কায়মনোবাক্যে অনুগত, পদাধিকারের সুযোগ ও আনুকূল্য তাহাদিগকেই দেওয়া উচিত।
নির্ব্বাচনাদির ব্যাপারে বৃথা কলহ বর্জ্জন করিয়া চলিবার চেষ্টা এবং রীতি অশেষ ভাবে প্রশংসনীয়, কেন না, অখণ্ড-মণ্ডলী স্থাপিত হইয়াছে মিলনের এক মহান্ মঞ্চরূপে। মণ্ডলীর নিয়মিত সভ্যদের একটা নির্দ্ধারিত আর্থিক সেবা মণ্ডলীর প্রতি থাকা প্রয়োজন এবং স্থানীয় মণ্ডলীর প্রয়োজনীয় অর্থের সদ্ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে একটা উদ্বৃত্ত অংশ কেন্দ্রীয় মণ্ডলীর কার্য্যাদি পরিচালনের জন্য সঞ্চিত ও প্রেরিত হওয়া উচিত। মণ্ডলীর অর্থের বা পুস্তক, ভূমি প্রভৃতি সম্পদের যাহাতে অপচয় না হয়, তাহার প্রতি প্রতিজনের লক্ষ্য থাকা সঙ্গত এবং প্রতিবর্ষে অন্ততঃ একবার মণ্ডলীর আয়ব্যয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব সভ্যসভ্যাদের সমক্ষে পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থিত করা অবশ্য কর্ত্তব্য। এই কার্য্যটী করিতে কোনও গাফিলতি হইলে মণ্ডলীর প্রতি স্বাভাবিক দাক্ষিণ্যের স্রোতধারা আস্তে আস্তে যে ক্ষীণ হইয়া যায়, এই কথা একমাত্র মূর্খেরাই বুঝিতে পারে না। নির্ব্বাচন-প্রার্থী হইয়াও যাহারা যোগ্য সংখ্যক সভ্যসভ্যার সমর্থনের অভাবে নির্ব্বাচিত হইল না, মণ্ডলীর পরবর্ত্তী কাজ সমূহ হইতে তাহারা যদি নিজেদের দূরে সরাইয়া রাখে, তবে বুঝিতে হইবে যে, তাহাদের মনের গোড়ায় ঘুণ ধরিয়াছে।
☆ সেবা বা সহযোগ দিতে হইলে কেবল সম্পাদক বা সভাপতিরূপেই দিব, অন্য ভাবে হইলে অসহযোগ করিব বা প্রতিপদে সাবলীল কর্ম্ম-সম্পাদনে বাধা দিব, এই জাতীয় মনোবৃত্তি অসুর বা অসভ্যদের মধ্যে সাজিতে পারে, সভ্য ব্যক্তির ইহা উপযুক্ত নহে। নিরহঙ্কার ভাব ও বিনয় লইয়া প্রত্যেককে মণ্ডলীর সেবা দিতে হইবে। নামেই একটা মণ্ডলী রহিল কিন্ত্ত সমবেত উপাসনার অনুষ্ঠান হইল না কিম্বা সমবেত উপাসনার নাম করিয়া অন্য অনুষ্ঠান করা হইতে লাগিল, ইহা কখনও কোনও অখণ্ড-মণ্ডলীর কর্ত্তব্য হইতে পারে না।
☆☆☆ তোমরা একটা কথা ভাল করিয়া মনে রাখিও যে, নাচ গানের প্রাচুর্য্য ও তরলতা দিয়া ভারতের এক শ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক তথা জগদ্বিখ্যাত কবির আসল চিন্তা ও অবদানের সহিত পরিচয় স্থাপনে জনগণকে বাধাই দেওয়া হইতেছে। যেখানে সমবেত উপাসনা তাহার প্রকৃত রূপটী লইয়া প্রতিষ্ঠিত নহে, সেই স্থানটীকে অখণ্ড-মণ্ডলী আখ্যা দেওয়া নিতান্তই ভুল।"
☆☆☆ অখণ্ডমণ্ডলেশ্বর শ্রীশ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব। [ দূর্ব্বাদল। প্রঃ-05/1394]
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
Facebook 'Like' Button |
|
|
|
|
|
|
|
SRI SRI BABAMANI |
|
|
|
|
|
|
|
SWARUPANANDA PARAMHANSA |
|
|
|
|
|
|
|
VISOTORS MAP |
|
|
|
|
|
|
|
The great sayings of Babamoni |
|
|
|
Today, Babamani's followers 137 visitors (166 hits) on this page! |